অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ পাবে না করোনার টিকা। করোনা টিকা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ পাবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
গতকাল সোমবার (২৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশন অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের জানান, ডিজিটাল ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’তে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকা দেওয়া হবে না। রেজিস্ট্রেশনের বাইরে টিকা দেওয়াকে আমরা নিরুৎসাহিত করছি।
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ পাবে না করোনার টিকা
আমাদের এ ডাটাগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে, অ্যানালাইসিস করতে হবে। অনলাইনের এ তথ্যগুলোকে পরবর্তীতে অনেকগুলো কাজে আমাদের লাগাতে হবে।
কেন্দ্র পরিবর্তন করে টিকা দেওয়ার সুযোগ থাকছে না জানিয়ে স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী আমরা কেন্দ্রে টিকা পাঠাবো। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র পরিবর্তন করে টিকার সুযোগ দিলে অনেক টিকা নষ্ট হবে।
নির্ধারিত তারিখ ও কেন্দ্র অনুযায়ী টিকা নেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
প্রথম দফায় করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হবে চারটি হাসপাতালে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ২৭ জানুয়ারি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে ব্রিফিংয়ে জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক।
ডিজিটাল ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ তে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের বিভিন্ন কারিগরি দিক সম্পর্কে অবহিত করেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস করোনা ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ ডেভেলপের সঙ্গে সম্পৃক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটা একটা যুগান্তকারী কাজ।
ভারতের বাইরে সবচেয়ে স্বল্পমূল্যে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাচ্ছে বলে জানান মুখ্য সচিব।
করোনার টিকা পেতে নিবন্ধন করবেন যেভাবেঃ
আগ্রহীদের করোনার টিকা নিতে নিবন্ধন করতে হবে ‘সুরক্ষা নামক ওয়েব পোর্টালে www.surokkha.gov.bd। অ্যান্ড্রয়েড বা অ্যাপল প্লে স্টোর থেকেও সুরক্ষা মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করেও করা যাবে নিবন্ধন।
ওয়েবে বা এপ্লকেশনটিতে গিয়ে ‘নিবন্ধন’ বাটনে ক্লিক করে প্রথমে ধরন নির্বাচন করতে হবে। এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ (এনআইডি অনুযায়ী) দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে নিবন্ধন করা যাবে না। ১৮ বছরের কম বয়সীরাও নিবন্ধন করতে পারবে না।
সকল তথ্য ঠিকভাবে দিলে বাংলায় ও ইংরেজিতে নাম দেখা যাবে। এরপর মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদি রোগ বা কো-মরবিডিটি থাকলে সেটা বলতে হবে। টিকা গ্রহণকারীর পেশা এবং কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট কোনো কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত কি না, সেটি বলতে হবে।
সবশেষে টিকা গ্রহণকারীর বর্তমান ঠিকানা ও কোন কেন্দ্রে টিকা নিতে ইচ্ছুক, সেটি দিলে নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।
ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাস এর উপসর্গের মধ্যে পার্থক্য
টিকাকেন্দ্রে টিকা নেওয়াঃ
ওয়েব বা এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে নিবন্ধন এর পর টিকা কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। ওয়েব পোর্টাল বা অ্যাপের ‘টিকা কার্ড সংগ্রহ’ বাটনে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্মতারিখ দিয়ে ‘যাচাই করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
এরপর নিবন্ধনের সময় দেওয়া মুঠোফোনের নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ওটিপি কোড দিয়ে ‘ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড’ বাটনে ক্লিক করলে টিকা কার্ড ডাউনলোড হবে।
এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া টিকা গ্রহণের তারিখে নির্দিষ্ট টিকাকেন্দ্রে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে টিকা নিতে হবে। এ সময় টিকা কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
কোভিড-১৯ টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পর সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল থেকে টিকা সনদ সংগ্রহ করা যাবে।