জাতীয়
আয়কর জিরো রিটার্ন এর বিস্তারিত জেনে নিন
আয়কর জিরো রিটার্ন এর বিস্তারিত জেনে নিন
যেহেতু আয়কর দেয়ার সময় আরো ১ মাস বাড়ানো হয়েছে
আমরা অনেকেই যারা নতুন খুজে পাচ্ছিলাম না কিভাবে কি করবো তাদের জন্য একটু চেষ্টা।
আপনি যদি e-TIN ধারি হন বা আপনার বার্ষিক আয় যদি ৪ লাখ টাকার কম ও মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকার কম হয় তবে আপনি ১ পৃষ্টার এই নতুন ফরম পূরণের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন এবং যাঁরা আয়কর জিরো রিটার্ন জমা দিতে চান তিনিও এই ফরম পূরণের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
এ বছর অনলাইনে আয়কর নেয়া হচ্ছে না তাই কষ্ট করে আঞ্চলিক এলাকায় যেয়েই জমা দিতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: যারা জিরো রিটার্ন জমা দিতে চান তাঁদের সবার করযোগ্য আয় কিন্তু জিরো হবে না। সবচেয়ে ভালো হয় করযোগ্য আয় নির্ণয়ের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি দেখে নিলে এবং যারা জিরো রিটার্ন জমা দিচ্ছেন তাঁরা সবাই কিন্তু মোট সম্পদের পরিমানের স্থানটি ফাঁকা রাখবেন না। আপনার সর্বোচ্চ যে সম্পদ থাকবে তা উল্লেখ করবেন।
কর নির্ণয়ের একটি নমুনা :
ধরি, আপনার বছরে মূল বেতন ৩,০০,০০০ টাকা এবং বাড়ি ভাড়া বাবদ পান ২,০০,০০০ টাকা। তাহলে মোট আয় দাড়ায় ৫,০০,০০০ টাকা। তাহলে তাঁর করযোগ্য আয় হবে (মোট আয় – মূল বেতনের ৫০%, এনবিআরের নীতিমালা অনুযায়ী) অর্থাৎ (৫,০০,০০০– ১,৫০,০০০) = ৩,৫০,০০০ টাকা। যেহেতু করযোগ্য আয় ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করের পরিমাণ শূন্য টাকা সেহেতু তাঁর করের পরিমাণ হবে (৩,৫০,০০০ – ৩,০০,০০০) x ৫% = ২,৫০০ টাকা । ধরি আপনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে থাকেন তাই আপনাকে নূন্যতম কর ৫,০০০ টাকা দিতে হবে।
এবার আপনি আপনার হিসেব করে ফর্ম পূরণ করে সাথে আপনার NID এর ফটোকপি এবং অন্যান্য কাগজ সহ জমা দিন। ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট সহ জমা দিলে পরবর্তিতে অনেক সুবিধা পাবেন।
ছবি সত্যায়িত করে নিবেন।
ছবি সত্যায়িত করে নিবেন।
ধন্যবাদ!
আরোও জানতে কমেন্ট করুন আর আমাদের সাথেই থাকুন!