হোম কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশন আসলে কী
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে সংক্রমণে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। ইতিমধ্যে মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে করোনাভাইরাসকে।
করোনাভাইরাসে যে ব্যক্তি আক্রান্ত বা কারও সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের আলাদা করে রেখে রোগের প্রসার ঠেকানোর নাম কোয়ারেন্টিন।
CDC বা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিন করার কথা বলেছে। ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার পর থেকে রোগের সপূর্ণ প্রকাশ হতে ১৪ দিন লাগে MERS ভাইরাসের।
করোনাভাইরাস এই MERS গোত্রীয়। সে জন্য হোম কোয়ারেন্টিন করতে বলা হয়েছে ১৪ দিনের জন্য। হোম কোয়ারেন্টিন মানে আপনি থাকবেন নিজের বাড়িতে, কিন্তু যত দূর সম্ভব অন্য কারও সংস্পর্শ থেকে দূরে।
ঠিক কীভাবে করবেন? কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো নিচে—
- নিজের বেডরুমে থাকুন। একা থাকুন।
- সম্ভব হলে নিজের আলাদা টয়লেট ব্যবহার করুন।
- নিজের তোয়ালে, গামছা, ব্যবহার করুন।
- নিজের বিছানা আলাদা রাখুন।
- যথাসম্ভব সাক্ষাৎ এড়িয়ে চলুন, এমনকি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও।
- যে কারও সামনে মাস্ক পরে থাকুন।
- অন্যের সঙ্গে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন।
- ঘন ঘন হাত ধুয়ে ফেলুন।
এছাড়া যেসব জায়গায় বারবার স্পর্শের সম্ভাবনা আছে, সেগুলো দিনশেষে ভালো করে জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে ফেলুন। যেমন দরজার হাতল, কম্পিউটার, ফোন, টয়লেট ইত্যাদি।
আরোও পড়ুনঃ আইপিএল কেও স্থগিত করে দিল করোনা ভাইরাস
হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার আশঙ্কা থাকায় অনেকেই খাবার মজুত করছেন। কারণ, এ সময়ে বাড়ির বাইরে যাওয়া অনুচিত।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজেকে হোম কোয়ারেন্টিন করেছেন কারণ, তাঁর স্ত্রীর করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছেন।
কানাডায় যারা হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন, একই নিয়ম পরিবারের সবার জন্য প্রযোজ্য। বাংলাদেশে জেলায় জেলায় যারা হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম হওয়ার কথা।
হোম কোয়ারেন্টিন তাঁর জন্য, যিনি এখনো পজিটিভ হননি। কেউ পজিটিভ হয়ে থাকলে তাঁদের হাসপাতালে আলাদা করার নাম আইসোলেশন।
ইতোমধ্যে ভাইরাসটি পৌঁছে গেছে বিশ্বের ১৫৬ টি দেশ ও অঞ্চলে।