তিনটি ‘জীবন্ত’ করোনাভাইরাস ছিল উহানের সেই ল্যাবে
গত বছরের শেষদিকে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চীনের উহান শহর থেকে। তখন থেকেই বিভিন্ন দেশের অভিযোগ উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে এই ধরনের ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা হয়। তিনটি ‘জীবন্ত’ করোনাভাইরাস ছিল উহানের সেই ল্যাবে। আর সেখান থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তবে চীন বরাবরই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
তিনটি ‘জীবন্ত’ করোনাভাইরাস ছিল উহানের সেই ল্যাবে
উহানের ওই ল্যাবের পরিচালক ইয়াং ইয়ানি নতুন এক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তার ভাষায়, ওই ল্যাবে সত্যিই ছিল বাদুড় থেকে পাওয়া তিনটি জীবন্ত করোনাভাইরাস্ কিন্তু ওগুলোর সঙ্গে কভিড-19 এর কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিজিটিএন-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন দাবি করেছেন।
চীনা এই গবেষক বলেন, বাদুড় থেকে আইসোলেট করা কিছু করোনাভাইরাস ওই ল্যাবে রাখা ছিল। তবে ওই ভাইরাসগুলোর সঙ্গে সার্সের সম্পর্ক রয়েছে, কভিড-19 এর কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরোও পড়ুনঃ সুস্থ থাকতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন এই করোনার দিনে
২০০৪ সাল থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন তারা, রিসার্চ টিমের আরও একজন অধ্যাপক ঝেংলি এ তথ্য জানান । তবে গবেষণা হয় মূলত সার্স নিয়ে, যা প্রায় দুই দশক আগে ছড়িয়ে পড়েছিল।
গত ডিসেম্বরের প্রথম এই ভাইরাসের নমুনা তাদের হাতে আসে বলে জানান ইয়াং ইয়ানি। এরপর চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট পেশ করেন তারা। তিনি বলেন, ওই নমুনা পাওয়ার আগে পর্যন্ত অন্যদের মতো আমরাও এই ভাইরাসের অস্তিত্বের কথা জানতাম না। সুতরাং ল্যাব থেকে ভাইরাস লিক হবে কি করে? ল্যাবে তো আগে ভাইরাস ছিলই না।
আরোও পড়ুনঃ আপনার সন্তানকে রাখুন স্ট্রেস ফ্রী