আইইএলটিএস
Trending

আই.এল.টি.এস এর অদ্যপ্রান্ত

আমরা অনেকেই উচ্চ শিক্ষা বা ভালো চাকুরি অথবা থাকার উদ্দেশ্যে অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করি বা করতে চাই। অন্যান্য দেশে যেতে হলে আমরা বিভিন্ন দেশের ভাষার পরিক্ষা দিতে হয় আর আই.ই.এল.টি.এস বা ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম হল ইংরেজি দক্ষতা যাচাই এর একটি টেস্ট বা পরিক্ষা। যেহেতু ইংরেজি প্রায় সকল দেশেই গ্রহণ যোগ্য তাই আই.ই.এল.টি.এস পরিক্ষার মাধ্যমে প্রায় সব দেশেই সহজে যাওয়া যায়। তবে এর জন্য একটা নির্দৃষ্ট স্কোর প্রয়োজন যা বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রকম।

চলুন দেখে নেই আই.ই.এল.টি.এস এর বিস্তারিত।

আই.ই.এল.টি.এস

আই.ই.এল.টি.এস বা ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম হল ইংরেজি দক্ষতা যাচাই এর একটি টেস্ট বা পরিক্ষা। আই.ই.এল.টি.এস পরিক্ষায় স্কোর কে ব্যান্ড বলা হয়ে থাকে যার সর্বোচ্চ ব্যান্ড বা স্কোর হল ৯। অর্থাৎ ০-৯ পর্যন্ত স্কোর দিয়ে থাকে। যেমন ধরুন ৫.৫, ৬, ৬.৫ এরকম ভাবে ৯ পর্যন্ত হয়। তবে আপনি যদি ৬.৭৫ স্কোর করেন তাহলে আপনাকে ৭ দেয়া হবে একইভাবে ৬.২৫ করলে ৬ দেয়া হয়ে থাকে।
বর্তমানে এই পরিক্ষা দুইভাবে দেয়া যায় আগের নিয়মে বা হ্যান্ড রিটেন এবং নতুন ন্যম বা কম্পিউটার বেসড। ব্রিটিশ কাউন্সিল বা আইডিপি অনুমোদিত টেস্ট সেন্টার থেকে রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনার ইমেইল এড্রেসে পরীক্ষার সময়, কখন উপস্থিত থাকতে হবে, এক্সাম সেন্টারের ঠিকানা ইত্যাদি ইমেইল করে দেয়া হবে ।

আই.ই.এল.টি.এস পরিক্ষায় চারটি অংশ থাকে বা ৪টি পার্ট এর পরিক্ষা দিতে হয়- ১। লিসেনিং, ২। রিডিং, ৩। রাইটিং এবং ৪। স্পিকিং।
এই প্রত্যেকটিতে আলাদা আলাদা স্কোর থাকে এবং সবশেষে আপনাকে টোটাল একটি স্কোর দেয়া হয়। জেনারেল সবার জন্য একই রকমের পরিক্ষা হয় তবে একাডেমিক এর জন্য যারা ইউকে তে যেতে চান তাদের জন্য একটু ভিন্নভাবে হয় তার মানে একাডেমিক পরিক্ষা দুই রকমের। সাধারান একাডেমিক আর ইউকেভি একাডেমিক।

এটি দুই ধরনের হয়ে থাকে –

১। একাডেমিক যা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য
২। জেনারেল বা সাধারন যা সকলের জন্য প্রযোজ্য

একাডেমিক আই.ই.এল.টি.এস

বিদেশে পড়তে যাওয়ার একটা কমন শর্ত হলো একাডেমিক IELTS এ একটা নির্দিষ্ট পরিমান স্কোর পেতে হবে, যেমন ৬/৬.৫ অথবা তার থেকে বেশিও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের রিকোয়ারমেন্ট থাকে ।
যারা এই এক্সাম সিস্টেমের সাথে পরিচিত নয় তাদেরকে বলি, IELTS পরীক্ষার চারটা পার্ট সেগুলো হলো: লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং ও স্পিকিং । সাধারণত এই চারটা মডিউলের প্রথম তিনটা একই দিনে হয় আর স্পিকিং পরীক্ষাটা কয়েকদিন আগে বা পরে হয় অথবা একই দিনে নিতে পারে । লিসেনিং, রিডিং ও রাইটিং পরীক্ষাটা ১ ঘন্টা করে একটার পর একটা স্বল্প সময় বিরতি দিয়ে হয় । মানে ১ ঘন্টা করে ৩ ঘন্টা, যার শুরুতেই থাকে লিসেনিং তারপর রিডিং এবং শেষে রাইটিং পরীক্ষাটি হয় ।

আপনারা বাংলাদেশে British Council ও IDP থেকে পরীক্ষা দিতে পারবেন । পরীক্ষার বর্তমান খরচ ১৭০০০ টাকা এবং ইউকেভি এর খরচ ২৩০০০ টাকা ।British Council ও IDP এর অধীনস্ত যেই কোনো এক্সাম সেন্টার থেকে পরীক্ষা দিতে পারবেন । এই ক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট এর এক কপি ফটোকপি ও টাকা নিয়ে গেলেই রেজিস্ট্রেশন করা যাবে । অথবা অনলাইনে এপ্লাই করতে পারবেন। বর্তমানে পরিক্ষা দুইভাবে নিয়ে থাকে কম্পিউটার বেসড আর হ্যান্ড রাইটিং আপনি রেজিস্ট্রেশন এর সময় তা সিলেক্ট করে দিবেন যে আপনি কিভাবে পরিক্ষা দিতে চান।

বেশিরভাগ দেশে একাডেমিক স্কোর ৬ -৬.৫ চেয়ে থাকে বা তার চেয়ে বেশি চেয়ে থাকে।

আরো কিছু জানতে হলে আমাদের সাইটে চোখ রাখুন আর কমেন্ট বক্স এ কমেন্ট করুন। কোন সোর্স বা বই এর পিডিএফ ফাইল লাগলে কমেন্ট করুন অথবা অন্যান্য পোস্ট চেক করুন।

চলুন চারটি পার্ট এর বিস্তারিত জেনে নেই-

১। (লিসেনিং): লিসেনিং পরীক্ষায় ৪টা সেকশন এ প্রশ্ন থাকে ৪০ টা সময় ৩০ মিনিট । তারপর ১০ মিনিট সময় দেয়া হয় এই উত্তরগুলোকে আনসার শিটে ট্রান্সফার করার জন্য তবে কম্পিউটার বেসড এ পরিক্ষা দিলে ২মিনিট সময় পাবেন বা নাও পেতে পারেন যেহেতু কম্পিউটার স্ক্রিনেই আপনি সাথে সাথেই উত্তর দিতে পারছেন।
৪০ টা প্রশ্ন আবার ৪ টা ভাগে ভাগ করা থাকে সাধারণত ১০ টা করে ।
এক্সাম সেন্টারে আপনার জন্য হেডফোন দেয়া থাকবে অথবা হ্যান্ড রিটেন পরিক্ষা একই হল রুম এ স্পিকার এর মাধ্যমে টেস্ট দেয়া লাগতে পারে, আর আপনাকে প্রশ্ন দেয়া হবে ।
তারা শুরু করতে বল্লেই শুরু করবেন, উত্তরগুলুকে প্রশ্নপত্রেই লিখে ফেলুন বা দাগিয়ে ফেলুন । ১ টা মিস হয়ে গেলে ঐটার জন্য সময় নষ্ট বা চিন্তা না করে তৎক্ষনাত পরের প্রশ্নে ফোকাস করুন । প্রথম দিকের প্রশ্নগুলা অপেক্ষাকৃত সহজ হয় এবং ধাপে ধাপে একটু কঠিনের দিকে যায় ।
প্রশ্নগুলা সাধারণত এমসিকিউ, শূন্যস্থান পূরণ, শর্ট আনসার, ম্যাচিং এই ধরণের থাকে ।
লিসেনিং এর প্রস্তুতি মানে প্রচুর শুনতে হবে, কি শুনবেন? ডকুমেন্টারী, মুভি, নিউজ, টিভি সিরিজ ইত্যাদি । ইউটিউবে প্রচুর ম্যাটেরিয়ালস পাবেন এবং গুগল প্লে স্টোরে বিভিন্ন এপ আছে যেইটা থেকে আপনি বিভিন্ন বিষয়ে পডকাস্ট শুনতে পারেন । আর নিজে নিজে প্রতি সপ্তাহে লিসেনিং এক্সাম দিবেন, কানে হেডফোন লাগিয়ে খাতা কলম নিয়ে মোবাইল অথবা কম্পিউটারের সামনে বসে এক্সাম দিতে পারেন ।
অনেকেই শুধু এক্সাম দেন কিন্তু লিসেনিং এর ডেভেলপমেন্ট এর জন্য শুনেন না । আগের থেকে ভালো করতে হলে শুনার কোনো বিকল্প নাই । দীর্ঘ সময় শুনলে ধৈর্য থাকেনা, তাই আপনার যতক্ষণ ভালো লাগে আপনি ঠিক ততক্ষণই শুনুন । মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং বুঝার চেষ্টা করতে হবে ।
Recommended Application: Podbean (Available in google play store)
মডিউল ২ (রিডিং) : রিডিং এ প্রশ্ন থাকে ৪০ টা সময় ১ ঘন্টা । রিডিং এ আনসার শিটে উত্তর ট্রান্সফারের জন্য লিসেনিং এর মতো আলাদা সময় দেয়া হয়না, মানে উত্তর খুঁজে বের করে আনসার শিটে লিখে ফেলবেন । রিডিং এ তিনটা প্যাসেজ থাকে, একেকটা প্যাসেজ থেকে ১৩/১৪ টা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় ।
প্রশ্নগুলা সাধারণত এমসিকিউ, শূন্যস্থান পূরণ, শর্ট আনসার, ম্যাচিং এই ধরণের থাকে । রিডিং এ ভালো করতে হলে প্রচুর পড়তে হবে, ইংরেজী গল্প উপন্যাস ছাড়াও ডেইলি ষ্টার পত্রিকাটি পড়তে পারেন তা ছাড়া “The Guardian” পড়তে পারেন । আর প্রতি সপ্তাহে নিজে নিজে “ক্যামব্রিজ আইএলটিএস” বই থেকে নিজে নিজে পরীক্ষা দিন এবং ভুল হওয়া উত্তরগুলি উত্তরপত্র দেখে সমাধান করুন । এবং কেন আপনার উত্তরটি সঠিক হলনা এর কারণ খুঁজে বের করে বুঝার চেষ্টা করুন ।
Book Reference: Cambridge IELTS (1-15) & Improve your IELTS by Sam McCarter (আমাদের সাইটেই বই গুলো পেয়ে যাবেন পিডিএফ আকারে, তবে বই কিনে নেয়া সবচেয়ে ভালো)
Newspaper: The Daily Star & The Guardian
মডিউল ৩ (রাইটিং) : রাইটিং পরীক্ষার সময় ১ ঘন্টা, এর মধ্যে আপনাকে ২ টি টাস্ক কমপ্লিট করতে হবে । টাস্ক ১ এ ১৫০ টা বা তার বেশি শব্দ লিখতে হয় আর টাস্ক ২ এ ২৫০ টা বা তার বেশি শব্দ লিখতে হয় । টাস্ক ১ এ সাধারণত একটা বার চার্ট, পাই চার্ট, লাইন গ্রাফ, প্রোসেস, টেবিল ইত্যাদি থাকে । টাস্ক ২ তে ২৫০ শব্দের একটা রচনা লিখতে হয়; এর বিষয় হতে পারে সামাজিক, পরিবেশ ভিত্তিক কিংবা ভিন্ন কোনো বিষয় নিয়ে । চেষ্টা করবেন টাস্ক ১ ঠিক ২০ মিনিট সময়ের মধ্যে কমপ্লিট করার যাতে টাস্ক ২ তে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় । কারণ হচ্ছে টাস্ক ২ তে বেশি মার্ক্স্ থাকে টাস্ক ১ এ কম থাকে । সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন যাতে টাস্ক ২ তে খুব ভালো করতে তাহলে স্কোর ভালো পাবেন । তাই বলে টাস্ক ১ কে অবহেলা করার কিছু নাই ঐটাও ভালো লিখতে হবে কিন্তু কম সময়ের মধ্যে লিখতে হবে ।
আমি একটা ওয়েবসাইট ও একটা ইউটিউব চ্যানেল দিচ্ছি আশা করি এগুলা দেখে ওদের মতোকরে লিখতে পারলে ভালো স্কোর করতে পারবেন । তারপরও নিজেদের মতো করে রিসোর্স আপনারা খুঁজে নিবেন আর আমাদের সাইটে আরো অন্যান্য পোস্ট এ অনেক সোর্স পাবেন ।
মডিউল ৪ (স্পিকিং) : স্পিকিং পরীক্ষা অনেকটা চাকরির ইন্টারভিউ এর মতো, স্পিকিং পরীক্ষা সাধারত ১০ থেকে ১৫ মিনিট হয়ে থাকে ।
স্পিকিং পরীক্ষা ৩ টি অংশে ভাগ করা থাকে । প্রথম কয়েক মিনিট আপনার নিজের এবং পরিবারের বিষয়ে প্রশ্ন হয়ে থাকে তাহলেই প্রথম পার্ট শেষ। ২ ভাগে আপনাকে একটা টপিক দেয়া হবে তার উপর আপনাকে ১ থেকে ২ মিনিট কথা বলতে হবে । টপিক হতে পারে সিজন, গ্রান্ডফাদার, স্পোর্টস ইত্যাদি । টপিক দেয়ার পর আপনাকে ১ মিনিট সময় দেয়া হবে এর মধ্যে আপনি নিজে কি কি বলবেন তার প্রস্তুতি নিয়ে নিবেন এবং আপনাকে দেয়া কাগজ কলমের সাহায্যে নোট বা পয়েন্টস আকারে লিখে নিতে পারেন ঐগুলা দেখে আপনি কথা বলতে পারবেন ।
আর পার্ট ৩ এ আপনার সাথে এক্সামিনার বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করবেন ।
পার্ট ১ এ আপনাকে যা জিজ্ঞেস করা হবে আপনি ১/২ লাইনে উত্তর দিন ।Yes বা No দিয়ে উত্তর দিবেননা মার্ক্স্ কাটা যাবে । যেমন যদি জিজ্ঞেস করে প্রফেশন কি: Job বা Student বলে শেষ না করে, কোথায় জব করেন কি কাজ করেন এইগুলা বলার চেষ্টা করুন ।
পার্ট ২ তে অবস্যই যতক্ষণ এক্সামিনার থামতে না বলেন ততক্ষন কথা বলা চালিয়ে যান । আর অফ টপিকে কথা বলবেন না, যদি আপনি স্পোর্টস টপিকে কথা বলার সময় রাজনীতিতে চলে যান তাহলে মার্ক্স্ কাটা যাবে । তাই যেই টপিকে কথা বলতে হবে শুধুমাত্র ওই বিষয়েই কথা বলবেন ।
পার্ট ৩ এ আপনাকে এক্সামিনার যেই প্রশ্নই করুকনা কেন আপনি ৩/৪ বাক্যে উত্তর দিবেন মানে একটু ব্রড আনসার দিবেন । এক লাইনের উত্তর দিলে নম্বর কাটা যাবে ।
ইউটিউব থেকে দেখুন স্পিকিং এক্সামে কি প্রশ্ন করা হয়: https://www.youtube.com/results?search_query=ielts+full+speaking+test

প্রয়োজনীয় Apps

Speaking এর জন্য -> opentalk
সকাল টিপস অ্যান্ড লার্নিং এর জন্য IELTS Prep App – takeielts.org
সকাল টিপস অ্যান্ড লার্নিং এর জন্য -> IELTS Full – Band 7.5+

আই.এল.টি.এস পরীক্ষার দিন

ব্রিটিশ কাউন্সিল বা আইডিপি অনুমোদিত টেস্ট সেন্টার থেকে রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনার ইমেইল এড্রেসে পরীক্ষার সময়, কখন উপস্থিত থাকতে হবে, এক্সাম সেন্টারের ঠিকানা ইত্যাদি ইমেইল করে দেয়া হবে ।

পরীক্ষার আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নিন এবং ঢাকা শহরে যারা আছেন তারা ট্রাফিক-জেম হিসেব করে আরও কিছুক্ষন আগে যাবেন । যাওয়ার সময় অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট এবং কনফার্মেশন ইমেইল এর কপি নিতে ভুলবেন না । এক্সাম সেন্টারে যাওয়ার পর আপনার সাথে থাকা মোবাইল ফোন, ওয়ালেট ও বেগপেক এক্সাম সেন্টারের কাউন্টারে জমা দিন এবং টোকেন বুঝে নিন ।

তারপর আপনার ছবি তোলা হবে এবং আঙুলের ছাপ নেয়া হবে । সম্পূর্ণ সাদা শার্ট না পরে যাওয়াই ভালো, তবে আপনি যেই কোনো মার্জিত পোশাক পরে যেতে পারেন । ছবি তোলা হয়ে গেলে আপনাকে আপনার জন্য নিদ্রিষ্ট আসনে বসতে হবে, আসন খুঁজে না পেলে রিপ্রেজেনটেটিভের সহায়তা নিন ।

যেই চেয়ার-টেবিলে বসলেন এইবার দেখে নিন ঠিক আছে কিনা, ঠিক না থাকলে রিপ্রেজেনটেটিভের সহায়তা নিয়ে বদলে নিতে পারেন । আর আপনাকে দেয়া হেডফোনটিকে ঠিকমতো চেক করে নিন কাজ করছে কিনা, ভলিউম বাড়িয়ে এবং কমিয়ে দেখুন হামিং বা নয়েস করে কিনা । হেডফোনে সমস্যা থাকলে তৎক্ষণাৎ রিপ্রেজেনটেটিভের সহায়তা নিয়ে বদলে নিন ।
লিসেনিং এ উত্তর আনসার শিটে লেখার জন্য ১০ মিনিট সময় দেয়া হয়, ১০ মিনিটের মধ্যেই আপনাকে ৪০ টি প্রশ্নের উত্তর আনসার শিটে লিখতে হবে তাই দ্রুত লেখার চেষ্টা করুন । মনে রাখতে হবে রিডিং পরীক্ষায় উত্তর ট্রান্সফার করার জন্য আলাদা সময় দেয়া হয়না ।
কলম নাকি পেন্সিল দিয়ে লিখতে হবে?
এইটা অনেক কমন একটা প্রশ্ন, ছাত্ররা দ্বিধায় ভুগেন আসলে কলম দিয়ে লিখবে নাকি পেন্সিল দিয়ে লিখবে । লিসেনিং এবং রিডিং পরীক্ষায় আপনাকে অবশ্যই পেন্সিল দিয়েই লিখতে হবে । শুধুমাত্র রাইটিং পরীক্ষায় আপনি কলম ব্যবহার করতে পারবেন, তবে চাইলে আপনি পেন্সিল দিয়েও লিখতে পারেন । মানে সব কিছু পেন্সিল দিয়ে লেখা যাবে এবং আমার মতে লেখা উচিত ।
বড়হাত নাকি ছোট-হাতের বর্ণ দিয়ে আনসার লিখবো? Should i use upper case/capital letter or Lowercase/small letter?
You can write all your answers in upper or lower case or a combination of both (using capitals at the beginning of proper nouns). মানে এইটা কোনো বেপারনা, তবে অনেকেই শুধু বড়হাত বা upper case/capital letter ব্যবহার করেন, আমি নিজেও করেছি এবং আমি মনে করি স্পষ্ট ভাবে লেখার জন্য সব capital letter ব্যবহার করা উচিত (লিসেনিং ও রিডিং এর ক্ষেত্রে) । উল্লেখ্য যে, রাইটিং এর ক্ষেত্রে বড়হাত-ছোটহাত মিলিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই লিখবেন । কিন্তু মনে রাখবেন কম্বিনেশন করে লিখলে কোথায় বড় হাতের লিখতে হবে।
কোন পেন্সিল ব্যবহার করলে ভালো?
এক্সাম সেন্টার থেকে পেন্সিল ইরেজার এগুলা সাধারণত দেয়া হয়, IDP থেকে দেয়া হয় আমি জানি তবে ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে দেয়া হয় কিনা জানিনা । দেয়া হোক বা না হোক, আপনার পেন্সিল আপনি নিয়ে যাবেন । ওদের দেয়া নিম্ন মানের পেন্সিল দিয়ে এক্সাম দিলে সময় নষ্ট হবে ।
কমপক্ষে ২ টা পেন্সিল, ১ টা ইরেজার আর একটা কলম নিয়ে যাবেন । বাজারে ১০ টাকা করে “Matador Neon” Pencil Dark Plus পাবেন এইগুলা লেখার জন্য খুব ভালো । আর ঐটা না পেলে যেই কোনো 2B পেন্সিল কিনে নিবেন । সাধারণ পেন্সিল গুলা দিয়ে লিখলে লেখা স্পষ্ট হয়না, তাই স্পষ্ট লেখার জন্য ঐ পেন্সিলটা বেবহার করতে পাবেন । আর, ইরেজার একটু দামিটা কিনবেন – কারণ সস্তা গুলা দীর্ঘ সময় ঘষা লাগে, আপনার সময় নষ্ট হবে ।
রেজাল্ট কবে পাবো?
কম্পিউটার বেসড হলে ৫-৭ দিন আর লিখিত হলে পরীক্ষার ঠিক ১৩ দিন পরেই রেজাল্ট পাবেন । আপনার ইমেইলে মেইল চলে আসবে কোন বেন্ডে কত পেলেন একদম ডিটেলস । আর যেই এক্সাম সেন্টার থেকে এক্সাম দিয়েছেন ওদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট বুঝে নিবেন ।
ঢাকার বাইরে যেয়ে পরীক্ষা দিলে স্কোর বেশি পাওয়া যায় শুনলাম!
আসলে বেপার হচ্ছে পরীক্ষা শহরে আর গ্রামে সবজায়গায় একই । আপনি ভালো প্রস্তুতি নিলে সবখানেই পরীক্ষা ভালো হবে ।
সোর্সঃ বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ফেসবুক
এছাড়াও আমাদের সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন নতুন নতুন আপডেট পেতে এবং কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please Unblock Your Adblocker!