কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং ‘কাট-কপি-পেস্ট’ কমান্ডের প্রবর্তক ল্যারি টেসলার মারা গেছেন।
স্টিভ জবস বা বিল গেটসের মতো খ্যাতিলাভ করতে না পারলেও ল্যারি জনবান্ধব কম্পিউটার সিস্টেম প্রচলনের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত তার পরিচিতমহলে। ১৯৪৫ সালে নিউইয়র্কে জন্ম নেয়া ল্যারির গ্রাজুয়েশন ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। এরপর কম্পিউটার সিস্টেমকে জনবান্ধব করার বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে তিনি ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইনিংয়ে পাঠ নেন।
কাট-কপি-পেস্টের জনক আর নেই!
কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং ‘কাট-কপি-পেস্ট’ কমান্ডের প্রবর্তক ল্যারি টেসলার মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
১৯৬০ এর দশকে উচ্চপ্রযুক্তির কেন্দ্রস্থল সিলিকন ভ্যালিতে কাজ শুরু করেন ল্যারি। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে তিনি অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তার ক্যারিয়ার শুরু হয় ফটোকপি ও প্রিন্টিং খাতের প্রযুক্তি নির্মাতা জেরক্সের পালো অলটো রিসার্চ সেন্টারে (পার্ক)। সেখান থেকে তাকে অ্যাপলের জন্য নিয়ে যান স্টিভ জবস। বর্তমান সময়ের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান অ্যাপলে ১৭ বছর কাজ করার এক পর্যায়ে ল্যারি সেখানকার প্রধান বিজ্ঞানী পদে অধিষ্ঠিত হন।
অ্যাপল ছেড়ে দেয়ার পর তিনি শিক্ষা বিষয়ক একটি উদ্যোগ নিয়ে হাজির হন। একসময় অ্যামাজন ও ইয়াহুর মতো শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেন ল্যারি।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করার সময় তিনি সবসময় ব্যবহারকারীর জন্য সহজ পদ্ধতি উদ্ভাবনের চেষ্টা করেছেন। তেমনই উদ্ভাবন ‘কাট’, ‘কপি’, পেস্ট’ কমান্ড। এই তিন কমান্ডের সুবাদে কম্পিউটারে একটি কাজ একবারেই করে বারবার ব্যবহার করা যায়।
ল্যারির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে জেরক্স। তাদের টুইটার বার্তায় বলা হয়েছে, ‘কাট, কপি, পেস্ট, ফাইন্ড ও রিপ্লেসসহ’ কম্পিউটারের এমন অনেক যুগান্তকারী কমান্ডের প্রবর্তন আপনাকে প্রযুক্তিবিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন রাখবে।
অ্যাপল ছেড়ে দেয়ার পর তিনি শিক্ষা বিষয়ক একটি উদ্যোগ নিয়ে হাজির হন।
সকল তথ্য একত্রে আমরা আপনাদের কে দেয়ার চেষ্টা করছি। প্রতিনিয়ত আপডেট পেতে আমাদের সাইটে ভিজিট করুন , আমাদের ফেসবুক পেজ ও গ্এরুপ এ একটিভ থাকুন এবং আরো কি জানতে চান আমাদের কে কমেন্টে জানান।
ধন্যবাদ!
আমাদের ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুকে গ্রুপ।